Cerca  



                                               

                                           

Md. Mamunur Rashid

Home  |  Bangladesh  |  এক্সক্লুসিভ  |  হাসা-হাসি  |  ইসলাম  |  গল্প  |  

উজ্জয়িনী বন্দোপাধ্যায়: ওহে শুনছেন, কাজকম্মে যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, এবারে একটু বুদ্ধিশুদ্ধি লাগিয়ে একটা চুমু দিন দেখি! তার সঙ্গে ঘরের দিকে মনটা দিন, সময় দিন আর হ্যাঁ, চুমুটাও দিন বাড়িতে। কেন না, আপনার নিজের সমস্তটা দিতে হবে যে সেই ‘তাকে’, যার জন্যই বাড়ি ফিরে সেটাকে চার দেওয়াল মনে না-হয়ে আপনার ঘর মনে হয়। ওই যে, রবি ঠাকুর বলেছিলেন না, ‘গোপনে একটি চুম্বন দাও’,কিছুটা সেরকমভাবেই প্রাণের সখী বা সখার জন্য ভালবাসার অজস্র চুমুর বাণ ছুঁড়ে দিতে যদি এখনও না পারেন, তবে আর এজম্মে কিস্যু হবে না… এই কসম খেয়ে বলছি! প্রেমজীবনের বারান্দায় যদি একঘেয়েমির ছায়া পড়তে থাকে ধীরে ধীরে, তাহলে এবার জ্বালিয়ে ফেলুন দেখি হাজার ওয়াটের ভালবাসার আলোটি।

তা, দিনের শেষে বিছানায় মুখোমুখি থেকেও কি আপনারা হাই তুলে ঘুমানোর তাল খোঁজেন? কোনো মতে ভালবাসাটাকে নিয়মের মতোই সম্পন্ন করে পালিয়ে যেতে চান ঘুমের শহরে? তাহলে বলব, এইসব আলিস্যিকে এক ঝটকায় সরিয়ে চটপট স্পাইসি করে ফেলুন সময়টিকে। কীভাবে? শুধু একটু নির্ভেজাল হেসে! তার সঙ্গে মেনে চলার জন্য দিলাম কয়েকটি টিপ্স…

সারা দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের পরে কিছুক্ষণের নিখাদ হাসিই হতে পারে আপনাদের দুজনেরই সবচাইতে বড় হ্যাপি ডোজ! চাদরের নিচে প্রেম উপচে পড়তে চাইলে তাই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর মেজাজ বুঝে করে ফেলুন হাসি-ঠাট্টার একটা মজা। খুশির হরমোন অক্সিটোসিন নিঃসৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপনাদের মাঝে এক অন্যরকমের দুষ্টু-মিষ্টি ভালবাসার জোয়ার দেখা যাবে।

দিন শেষের প্রেমজ্ঞাপনের সময়টিতে ভুলেও যেন জ্বালিয়ে ফেলবেন না লাল-নীল মোমের বাতি কিম্বা চালিয়ে দেবেন না সেকেলে রোম্যান্টিক গান। মনে রাখবেন, এইসব মান্ধাতার আমলের ট্রিক্স-এর বদলে কখনও-সখনও বোকা বোকা হাসির কথা বা বুদ্ধিমান জোকস্-এ কাজ দেয় বেশি, আর রতিক্রিয়াকে তা করে তুলতে পারে আরও মজাদার। আসলে মজার ছলে সময়টা কাটলে আপনাদের কারোরই পার্ফরম্যান্সের টেনশন থাকবে না। মাঝে মাঝে কঠিন মাথাফাটানো জ্ঞানের জায়গায় একটু ছ্যাবলামি, পাগলামি অনেক রিলিফ এনে দেয় রাত্রিক্রিয়ায়। পুরনো হলদেটে খাতার পাতায় লেখা বিধিনিয়ম মেনে যৌনসুখের ছোঁওয়া পেতে চাইলে, জেনে রাখুন আপনি শিওর শট ফেল করবেন। এক খাবার, এক জিনিস কারই বা ভালোলাগে বলুন? তাই বদলে ফেলুন প্রিয়মানুষটিকে অ্যাপ্রোচ করার স্টাইলটিকে, দেখবেন চোখের নিমেষে কেটে গিয়েছে সময়।

মনের দূরত্ব বা শরীরের আড়ষ্টতাকে কাটিয়ে তুলতে হলে আপনার সেই হাজার ওয়াটের হাসিটি তাই দেখিয়েই ফেলুন এবারে; কাজ হবে অনেকটাই। আক্ষরিক অর্থে হাসিই কিন্তু দুটো মানুষের মাঝের দূরত্বকে এক লহমায় দূর করতে পারে। ডাক্তাররা বলেন, ‘শরীরী ক্রিয়া এবং হাসি- দুটোই একে অপরের পরিপূরক, যে দুটো মিলে গেলে একজন মানুষ সর্বোচ্চ সুখ পেতে পারেন’।

অস্বীকার করার উপায় নেই- সম্পর্ক যেন কখনও কখনও এক চক্রব্যূহ, বা ক্রসওয়ার্ড পাজেল হয়ে ওঠে। একটু বুঝে-শুনে খেলতে পারলেই কেল্লা ফতে, আর নইলে? কপালে আছে অনর্থ এবং তার ফলে ধূসর মরুভূমির মাঝে নিজেকে একাকিত্বে ভরা আরব বেদুইন বলেই মনে হবে। তাই এবার এক ধাপ-এক ধাপ করে এগিয়ে সংসারে নিয়ে আসুন তো ভালোবাসার রোদ্দুর, কী করতে হবে তার জন্য- সেটা তো বলা হয়েই গিয়েছে।